শেখ সাদ্দাম : মালদা:০৮ ফেব্রুয়ারি
সম্প্রীতির ছবি ধরা পড়ল মালদহের চাঁচলে। সর্বধর্ম সমন্বয়ই বাংলার এক এবং একমাত্র লক্ষ্য৷
“মােরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু – মুসলমান, মুসলিম তার নয়ন – মণি , হিন্দু তাহার প্রাণ”।বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামের এই কবিতার বাস্তবতা দেখা গেল এবার।ধর্মীয় ভেদাভেদ,সাম্প্রদায়িক অশান্তিতে বিধ্বস্ত দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও একটুকরো সম্প্রীতির ছবি ধরা পড়ল মালদহের চাঁচলে।
হিন্দুদের মন্দির নির্মাণে এগিয়ে এলেন স্থানীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ৷ মন্দির গড়তে আর্থিক অনুদান দিলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও৷এ এক অনন্য সম্প্রীতির নজির গড়লেন চাঁচল থানার সিহিপুর গ্রামের মানুষ৷
উল্লেখ্য, সিহিপুর বারোওয়ারি দূর্গা মন্দিরের পুনঃ নির্মাণের কাজ বেশ কিছুদিন হল শুরু হয়েছে৷ আর সেই মন্দির নির্মানে আট লক্ষ টাকা বাজেট রয়েছে।সেই টাকা জোগানে এগিয়ে এসেছেন চাঁচল থানার সংখ্যালঘু সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ।
সারা দেশ জুড়ে যেখানে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি চরম পর্যায়ে, সেখানে হিন্দুদের মন্দির নির্মানে মুসলিমরা এগিয়ে আসা বুঝিয়ে দেয় দেশটা এখনও দ্বেষে ভরে যায়নি৷এখনও বন্ধুতা শব্দটা অর্থহীন নয়৷ এখনও মানুষ বিশ্বাস করে ধর্ম একটাই, মানব ধর্ম৷
সিহিপুরের দূর্গা মন্দিরের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে রবিবার। এলাকার মানুষের সহযোগিতায় কাজ চলছে জোর কদমে ।কিন্তু মাঝে একটা সময় অর্থের অভাবে কাজ এগোনো যাচ্ছিল না বলে জানিয়েছেন মন্দির কমিটির সম্পাদক কাজল দাস।
ঠিক তখনই এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ মন্দির নির্মাণের জন্য এগিয়ে আসে৷ নির্মানের কাজে সাহায্যের হাত বাড়িতে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও৷তবে সেখানে শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নেই৷ রয়েছেন হিন্দু-মুসলিম সহ সমস্ত ধর্মের মানুষই৷
রবিবার চলছিল মন্দিরের ঢালাইয়ের কাজ।আর সেই উপলক্ষ্যে এলাকার পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ একসাথে এক চটে বসে খিচুরি ভোগের আহার করেন।