৭ টিভি বাংলা,ওয়েবডেস্ক;নবান্ন অভিযানে নিহত ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্দার স্ত্রীর হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিল রাজ্য সরকার। স্পেশ্যাল হোম গার্ডের চাকরি দেওয়া হয়েছে তাকে। যে কোনও কম পয়সার চাকরি নিতে নারাজ ছিল বাম নেতার পরিবার। কিন্তু যে চাকরি দেওয়া হয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট বলে জানিয়েছেন ডিওয়াইএফআই কর্মীর স্ত্রী আলেয়া বিবি।
বাঁকুড়ার কোতুলপুরের চোরকোলা গ্রামের বাসিন্দা মইদুল, পেশায় টোটো চালক। বামপন্থী যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্যও ছিলেন তিনি। পরিবারে রয়েছেন মিদ্দার মা, স্ত্রী আলেয়া বিবি, দুই সন্তান ও এক ভাগ্নি। তিনিই ছিলেন পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য। নবান্ন অভিযানে যোগ দিতে এসে প্রাণ খোয়ালেন তিনি। এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে প্রয়াত যুব নেতার পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথা বলেন। মিদ্দার স্ত্রীর দাবিমতোই আলেয়াকে পুলিশের হোমগার্ডে চাকরি দেওয়া হল। শুক্রবার জেলাশাসক, এসপি এবং মন্ত্রী শ্যামল সাঁতরা কোতুলপুরে মিদ্দার বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রীর হাতে তুলে দিলেন নিয়োগপত্র। চাকরি পেয়ে রিতিমত আপ্লুত মিদ্দার স্ত্রী আলেয়া বিবি। দ্রুত তিনি চাকরিতে যোগ দিতে পারেন বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, বাম কর্মীর মৃত্যু নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়ে, একের পর এক আন্দোলন করে চলেছে বাম সংগঠন গুলি। তবে মৃত্যু ঘিরে উঠেছে নানান প্রশ্ন। কেনো বাম সংগঠনের তরফ থেকে পুলিশ ও মিদ্দার পরিবার কে চিকিৎসা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি? তবেকি এর পিছনে আছে কোনো রাজনৈতিক খেলা, উঠছে প্রশ্ন। তবে সবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় আপ্লুত মিদ্দার পরিবার।