৭ টিভি বাংলা,ওয়েবডেস্ক; বামনেতার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল মৌলালি। পুলিশের সাথে সংঘর্ষে ছড়ানো DYFI ও SFI কর্মীরা, ছিঁড়ল পুলিশের উর্দি। সাভাবিক ভাবেই অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে এজেসি বোস রোড। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে এসেছে পরিস্থিতি। তবে এখনও থমথমে এলাকা।
এদিন DYFI নেতা মইনুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুর প্রতিবাদে সোমবার এন্টালির দীনেশ মজুমদার ভবনের সামনে জমায়েত করেছিলেন বাম ছাত্র সংগঠন। আচমকাই সেখানে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ছাত্র-যুবরা। অভিযোগ, DYFI কর্মীরা বেধড়ক মারধর করে পুলিশকে। ছিঁড়ে দেওয়া হয় উর্দি। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় মৌলালিতে। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে কলকাতার ব্যস্ততম ওই এলাকা। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি। SFI এর রাজ্য সম্পাদকের দাবি, অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। সেই কারণেই উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। ময়নাতদন্ত নিয়ে একেকবার একেকরকম মন্তব্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। ময়নাতদন্তে দেরি হলে মইনুলের দেহ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আবদুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তী। এই ঘটনার প্রতিবাদে কলেজস্ট্রিটে পোড়ানো হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।
অন্যদিকে, সোমবার সকালে DYFI নেতা মইনুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাম সংগঠন গুলি। পুলিশ ও রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুজন চক্রবর্তী, আবদুল মান্নান ও অধীররঞ্জন চৌধুরী। যুবকের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে একাধিক কর্মসূচির ডাক দেয় DYFI। এই মৃত্যু তে শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী, এমনকি পরিবারের একজন কে সরকারি চাকরি দেওয়ার আশ্বাস ও দেন।