শাবনূর আর আমি: কনক চাঁপা!
সাকিব হাসান: দুজনকে বলা যায় দুই দেহ এক উপস্থাপন। আমি শাবনূরের অথবা শাবনূর আমার। প্লেব্যাক এর পুরোটা উজ্জ্বল সময় আমি প্রধানত শাবনূরের জন্য গেয়েছি।
আমি গাইলে নাকি ডিরেক্টরদের মনে হতো তিনি গাইছেন। তাই তার ছবির গানে কনকচাঁপার কণ্ঠ আবশ্যম্ভাবী। এসব কথা বা ব্যখ্যা অথবা বাস্তব ঘটনা যারা ছবি দেখতেন, বা ছবির ভক্ত ছিলেন তারা সবাই জানেন।
কিন্তু একটি কথা একদম অজানা যেমন পুরো পেশাদার জীবনে শাবনূর আর আমার খুব কম দেখা হয়েছে। প্লেব্যাক এর প্রথম দিকে দুজন মিলে একটা টিভি চ্যানেলের জন্য ইন্টারভিউ দিয়েছিলাম। এরপর হঠাৎ হঠাৎ হয়তো চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট কোন অনুষ্ঠানে মিতবাক শাবনূরের সাথে আমার খুবই কম সময়ের জন্য দেখা হয়েছে। দুয়েকটা বাক্য বিনিময় ছাড়া আর কিছু হয়নি আমাদের মাঝে।
তো মাশুকের বিয়ের সময় দাওয়াত দিতে গেলাম তার বাসায়। বাসায় যাওয়ার পরে আবেগে উচ্ছাসে একদম উল্লসিত হয়ে গেলো। আমার বাসা ওর বাসার কাছে শুনে বললো “ও আল্লাহ! তাইলে তো আপনার নিঃশ্বাস ও আমি পাই।”
দুপুর বেলা গড়িয়ে গেলেও সে কিছুতেই না খেয়ে আসতে দিলো না। নিজ হাতে বেড়ে বেড়ে নিজের করা রান্না আমাদের খাওয়ালো। আমি বারবার শাবনূরের চোখের দিকে তাকাচ্ছিলাম! এবং চমকে যাচ্ছিলাম। তার চোখ এতো সুন্দর যে বেশীক্ষণ তাকানো যায়না! চলাবলায় এতো ভোলাভালা যে আমি বারবার ভাবছিলাম এই মানুষ এতো নিখুঁত অভিনয় কিভাবে করে! কিভাবে পারে!
যাইহোক, যথারীতি সে বিয়েতে এলো, মজা করে খাবার খেলো,ভক্তদের সবার সাথে হেসে হেসে ধৈর্য ধরে এতো ছবি তুললো যে আমরা সবাই বিস্মিত হয়ে গেলাম।
সত্যিই আমরা গর্বিত হতে পারি যে আমাদের একজন শাবনূর আছেন যার নামের আগে পিছে কোন বিশেষন লাগেনা।